পারাপারের ভরসা সাঁকো : ভোট এলেই শুধু প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাস

27th September 2020 7:31 pm বাঁকুড়া
পারাপারের ভরসা সাঁকো : ভোট এলেই শুধু প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাস


দেবব্রত মন্ডল ও তৌসিফ আহমেদ ( ইন্দাস ) :  ভোট আসে ভোট যায়, প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়, কিন্তু বর্ষার জল বাড়লে সেই বন্যায় ভাসে ইন্দাস থানা এলাকার গোয়ালপুষ্করিণী গ্রাম, এ চিত্র চিরাচরিত। ইন্দাস থানা এলাকার গোয়ালপুষ্করিণী গ্রামে পাঁচশো পরিবারের বাস। আর তাদের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ কর্ম থেকে চাষাবাদ সবই নির্ভরশীল দেব খালের ওপর গড়ে ওঠা নড়বড়ে ভগ্নপ্রায় সাঁকো দিয়েই । প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসী নিত্য যাতায়াত জরাজীর্ণ এই সাঁকো দিয়ে। চলে বাইক সাইকেল থেকে পায়ে হাটা মানুষ, নিচে দিয়ে বয়ে গিয়েছে দেব খালের বিপুল জলরাশি। গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ ও কৃষক সম্প্রদায় চাষাবাদ থেকে শুরু করে দৈনন্দিন যোগাযোগের একমাত্র উপায় দেব খালের উপর ভাঙাচোরা এই এই সাঁকো । যা দিয়ে চলাচল করতে পারে না চারচাকা গাড়ি। আপৎকালীন পরিষেবা গ্রামে ঢুকতে পারে না অ্যাম্বুলেন্স । মুমূর্ষু রোগী ও প্রসূতি মায়েদের মধ্যযুগীয় কায়দায় খাঁটে দড়ি বেঁধে কাঁধে করে পার করা হয় দেবখালের নড়বড়ে সেতু , তারপরে মেলে চিকিৎসা। আর এই ব্যবস্থা করতে গিয়ে দেরি হয়ে গেলেই ঘটে প্রাণহানির ঘটনা , এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে দাবি গ্রামবাসীদের । গাডোয়াল বিহীন এই ভাঙাচোরা সেতু পার হতে গিয়ে পড়ে আহত হয়েছে ছাত্র-ছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষজন সকলেই । পাশের গ্রামের মঙ্গলপুর বিদ্যালয় যেতে হলেও ভরসা এই বাঁশের সাঁকো । ভরা বর্ষায় দেবখাল ভয়াল আকার নেয়। এই সাকো তখন চলে যায় জলের তলায় । তখন আট কিলোমিটার ঘুরপথে শাশপুর হয়ে যোগাযোগ রাখতে হয় এই গ্রামের মানুষদের । কিন্তু কিছু করার নেই । বাহুবার অনেক আবেদন-নিবেদন করে জানানো হয়েছে সমস্যার কথা । জনপ্রতিনিধি থেকে স্থানীয় নেতা নেত্রী সকলেই আশার আলো জাগিয়েছেন, মন দিয়ে শুনেছেন গ্রামের মানুষের অভাব অভিযোগ, কিন্তু এই গ্রামের মানুষদের ভাগ্যের সিঁকে এখনও ছেড়েনি। বিংশ শতাব্দীর আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে বহুদূরে এই গ্রাম । গ্রামে লাল মাটির রাস্তায় পড়েনি এখনো পিচের পলেপ । গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক স্কুলের রাস্তা সেটাও মাঠের উপর দিয়ে । ভরা বর্ষায় সাপখোপের আতঙ্ক থেকে পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ভয় সবই রয়েছে এই গ্রামের বাসিন্দাদের । গ্রামবাসীদের অভিযোগ একেবারে সত্যি বলেও মেনে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তিনি বলেন বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ার পর আমরা কলের পাইপ দিয়ে সাঁকোটিকে মেরামত করেছি তবে এই বৃষ্টি কংক্রিটের করতে গেলে অনেক টাকার প্রয়োজন সেটা পঞ্চায়েত থেকে সম্ভব নয় আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি বিষয়টি ।

তবে স্থানীয় তৃণমূলের সদস্য এই সাঁকো সামগ্রিক সরকারের ব্যর্থতা তা এককথায় স্বীকার করে নিয়েছে ।

এই ঘোলা জলে মাছ ধরতে ব্যস্ত প্রধান বিরোধী বিজেপিও। তাদের দাবি চারিদিকে উন্নয়নের ছোঁয়ায় আঁচ এখনো পাইনি গোয়ালপুষ্করিণীর বাসিন্দারা। আগামী দিনে বিজেপি নেতৃত্বের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে এই গ্রামের বলেও দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।